চুলের উপর বায়োটিনের প্রভাবঃ চুল পড়া কমানোর টিপস!
মুক্তা দাঁতী হরিণ চোখী,
লম্বা মাথার চুল।
সেই নারী করিলে বিয়া,
ঘরে ফুটে ফুল।
চুল মেয়েদের সর্বাধিক সমৃদ্ধশালী অলঙ্কার। ঝলমলে, ঘন, দীঘল কালো চুল কে না চায়? তবে চুলের যত্নে পিছিয়ে কেন?
আসুন জেনে নেই চুলের যত্নে অপরিহার্য একটি উপাদানের কথা।
চুলের যত্নে বায়োটিন
বায়োটিন হলো ভিটামিন বি৭। চুল, ত্বক এবং নখের স্বাস্থ্যের জন্য দায়ী এনজাইমগুলো এর উপর নির্ভর করে। বায়োটিনের অভাবে চুল পড়তে পারে, চুল পাতলা এবং দুর্বল হতে পারে। বায়োটিন বাড়ন্ত শক্তিশালী পুরু চুলে লক্ষ্যে ইতিবাচক প্রভাবের জন্য সুপরিচিত। এই কারণেই বায়োটিন সম্পূরকগুলো দরকারী।
চুলের উপর বায়োটিনের প্রভাব
বায়োটিন কেরাটিনের গঠনে সাহায্য করে। কেরাটিন একটি মৌলিক প্রোটিন যা চুল তৈরি করে। এছাড়া এটি চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক।
কোন খাবারে বায়োটিন থাকে?
আমাদের খাদ্যে প্রাকৃতিকভাবে বায়োটিন সরবরাহকারী সেরা খাবারগুলোর মধ্যে একটি হলো তৈলাক্ত মাছ যাতে ভিটামিন বি-৭ থাকে। একইভাবে বাদাম একটি চমৎকার উৎস যেমনঃ ডিম, দুগ্ধ এবং গরুর মাংসের যকৃত।
চুলের জন্য চুলের পণ্য এবং বায়োটিন চিকিৎসা
খাবার থেকে পর্যাপ্ত বায়োটিন গ্রহন করতে না পারলে আপনি শরীরে বায়োটিনের অভাবের কিছু লক্ষণ খেয়াল করবেন যেমনঃ অতিরিক্ত চুল পড়া, চুল ভেঙ্গে যাওয়া, চুল পাতলা হওয়া, নখ ভেঙ্গে যাওয়া। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
বায়োটিনসমৃদ্ধ শ্যাম্পুগুলো এই পুষ্টি সরাসরি চুলে প্রয়োগ করার একটি ভাল উপায়। যদিও তাদের প্রভাব দেখতে নিয়মিত ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।
বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার, সাপ্লিমেন্ট এবং পণ্য ব্যবহারে যেসব উপকার পাবেনঃ
চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি দেখতে পাবেন যেমনঃ চুল পুরু হবে, চুল পড়া কমবে এবং চুল বৃদ্ধিতেও এটি সহায়ক হবে।
সেই সাথে আপনার স্ক্যাল্প বা চুলের ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। স্ক্যাল্প, ত্বক ও নখ হবে মসৃণ এবং শাইনি।
চুলের জন্য বায়োটিন কতটা দরকারী তা তো জেনে গেলেন। এবার যত্ন নেওয়ার পালা আপনার। তবে মনে রাখবেন যেকোন জিনিসের পরিপূর্ণ ফলাফল পেতে অথেন্টিক প্রডাক্ট ব্যবহারের বিকল্প নেই।