কনডম কি এবং কেন ব্যবহার করা হয়?

কোন ত্বকের জন্য কোন সিরাম সবচেয়ে ভালো?

কনডম হল একটি আবরণ যা যৌনসঙ্গমের সময় ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান কাজ হলো পুরুষের বীর্যরস মহিলার যোনীপথে প্রবেশে বাধা প্রদান করা।

কনডম কি এবং কেন ব্যবহার করা হয়?

যার ফলে শুক্রাণুর সাথে সাথে রোগজীবাণুও একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াতে পারে না।কনডম হল একমাত্র গর্ভ নিরোধক যা যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে।

কনডম কেন ব্যবহার করবেন?

কনডম অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ থেকে রক্ষা করে। অনেক সময় পিল, কপার-টি, মাংসে ইন্জেকশনের মাধ্যমে ঔষধ গ্রহণ বা অন্য জন্ম নিরোধক পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে কারণ এগুলোর কোনটিই ১০০% সফল নয়। তাই সাবধানতার জন্য কনডম ব্যবহার খুবই কার্যকর।

কনডম যৌনরোগ যেমনঃ গনোরিয়া, সিফিলিস, এইডস, হেপাটাইটিস বি এবং সি প্রতিরোধে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। কিছু কিছু রোগ যেমন এইডস এর প্রতিরোধে একমাত্র পরীক্ষিত উপায় হলো কনডমের ব্যবহার।

বাজারে কেমন কনডম পাওয়া যায়?

এখন বিভিন্ন রকম কনডম বাজারে পাওয়া যায়। গ্রাহকের পছন্দের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম রং এবং ফ্লেভারের কনডম পাওয়া যায় যা দাম্পত্য সম্পর্ককে আরো সুন্দর করে। 

এছাড়া ল্যাটেক্স (রাবার), প্লাস্টিক অথবা ন্যাচারাল (ভেড়ার চামড়ার তৈরী) উপাদানের হতে পারে। আবার এগুলো প্লেইন বাডটেড (দানাদার) হতে পারে।

কনডম ব্যবহারের সুবিধা

  • খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় এর ব্যবহার সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই থাকে। 
  • আধুনিক সময়ে যেসব কনডম তৈরী করা হয় তার কিছু কিছু যৌন উদ্দীপক পদার্থ দিয়ে ও আকারে তৈরী করা হয়। এর ফলে কনডম ব্যবহারের অনাগ্রহ দূরীভূত হয়।
  • সহজলভ্য ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এরকম উপকরন নিরাপদ সম্পর্ক স্থাপনে চমৎকার কাজ করে।  কনডমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলতে উপাদানের(ল্যাটেক্স) প্রতি হাইপারসেন্সিটিভিটি বা অতিসংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জি হলে ন্যাচারাল উপাদানে তৈরী কনডম ব্যবহার করতে পারেন তবে এর শতাংশ কম। 
  • কনডম অসাবধানতাবশত ছিঁড়ে বা ফেটে গেলে অথবা আগে থেকেই ছিদ্র থাকলে আপনি ব্যবহার করার সময় বুঝতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে সহবাসের ৭২ ঘন্টা এর মধ্যে ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল খেতে হবে। এভাবে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

তবে আমাদের দেশের কালচার অনুযায়ী অনেকেই দোকান থেকে কনডম কিনতে ইতস্তত বোধ করেন। কনডম সাধারণত ছেলেদের লিঙ্গ সাইজ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয় না। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url